ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ফুলছড়িতে সামাজিক বাগান দখল বাণিজ্য জমজমাট

sassssসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ আওতাধীন ফুলছড়ি বিটের ২০০৪-২০০৫ সালের সামাজিক বনায়ন দখল বাণিজ্য জমজমাট আকার ধারণ করেছে। ফুলছড়ি গেইটের পূর্ব পার্শ্বে থমতলা এলাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বাগান দখল করে ঘর নির্মাণ চালিয়ে গেলেও বন বিভাগ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ উঠেছে, ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তার যোগসাজশে লাখ টাকার বিনিময়ে ইতিমধ্যে ১০টি প্লট বিক্রি করা হয়েছে অর্ধ কোটি টাকায়। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।

অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২০০৪ সালে ফুলছড়ি বনবিট ১ হেক্টর করে ২৫ জনকে সামাজিক বনায়ন বরাদ্দ দেয়। গত ১ যুগ ধরে এ বাগানের শত শত গাছ কেটে লোপাট করে স্থানীয় সিন্ডিকেট। গাছ খেকোরা এবার নেমেছে বনায়নের জমি বিক্রির মহোৎসবে। স্থানীয় ফরিদুল আলম ও রহমত উল্লাহর নেতৃত্বে এ প্লটে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ১০টি কাঁচা ঘর-বাড়ী। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। জানা গেছে খুটাখালী ইউনিয়নের শিয়া পাড়া, নাইপেরঘোনা, ছড়া পাড়া ও পার্শ্ববর্র্তী ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা এলাকার জৈনক খুশি আলমের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার, আবদুল মালেকের কাছ থেকে ৩ লক্ষ, সাহেদা বেগমের কাছ থেকে ৬ লক্ষ, নুরুল আবছারের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ, জসিমের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ও নুরুর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নগদ গ্রহণ করে সামাজিক বনায়নের একাধিক জায়গায় ঘর নির্মাণের সহযোগীতা চালিয়ে আসছে। বাগানের উপকার ভোগীরা তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বনবিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে বন সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: